আমরা মূলত সরকারের কারচুপির ধরন ও তাদের ভোট ডাকাতির মুখোশ উন্মোচন করতেই সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তবে ঢাকার দুই সিটিতেই বিএনপির গণজোয়ার তৈরি হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতাসীনরা ভোট ডাকাতি না করলে আমাদের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল জয়ী হবে ইনশাআল্লাহ। অন্যথায় ক্ষমতাসীনরা যদি ভোট ডাকাতির পুনরাবৃত্তি করে তাহলে সমস্ত দায়ভার তাদেরকেই বহন করতে হবে।
সোমবার বিকালে ঢাকা বার আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শরিফ উদ্দিন মোল্লা।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, খোরশেদ মিয়া আলম, কেন্দ্রীয় নেতা খোরশেদ আলম মিয়া, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান বাচ্চু, সাবেক সেক্রেটারি মোসলেহ উদ্দিন মিয়া ও আবু ইউসুফ সরকার প্রমুখ।
বিএনপিকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্য করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করে আব্দুস সালাম বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাও হতো না! কিন্তু আজকে একটি দল যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মূলত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করছে।
তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সব চেতনাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। অথচ তাদের ঘরেই রাজাকার। সুতরাং যাদের ঘরে রাজাকার তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা লজ্জাস্কর।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা আজকে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। তারা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী করেছে। তিনি একজন অসুস্থ ও বয়স্ক নারী। আমি অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে দাবি জানাচ্ছি।